নরসিংদী শহরের নাগরিয়াকান্দি এলাকায় বৃদ্ধা মাকে নিয়ে বসবাস করেন ইজিবাইক চালক মজিবর রহমান। কয়েক বছর আগে রায়পুরা উপজলোর মরজাল কামারটকে এলাকার নজরুল ইসলামের বড় মেয়ে সুমি বেগমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত বিয়েতে গড়ায়। প্রায় দেড়মাস আগে মজিবর রোজগারের সন্ধানে ইজিবাইক নিয়ে বের হয়ে বাড়ি ফিরে দেখেন প্রিয়তমা স্ত্রী ঘরে নেই।
মার কাছ থেকে জানতে পারেন- সুমি তার বাবার বাড়ি চলে গেছেন। পরদিন ছুটে যান শ্বশুরবাড়ি। সেখানেই সুমির সন্ধান পান। স্ত্রীকে আনতে চাইলেও বাধা দেন শাশুড়ি লিলি বেগম। এ সময় জানতে পারেন- শাশুড়ি ফুসলিয়ে সুমিকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। পরিবারের বড় হওয়ায় সুমিকে শিবপুর উপজেলার বিসিক আমতলার একটি গার্মেন্টে চাকরি দেন মা লিলি বেগম।
স্ত্রী না আসায় মজিবর একপ্রকার পাগলপ্রায় হয়ে পড়েন। প্রিয়তমা স্ত্রীকে ফিরে পেতে নরসিংদী শহর ও সুমির সম্ভাব্য যাতায়াত পথসহ বিভিন্ন স্থানে ২৫টি বিলবোর্ড টানিয়েছেন মজিবর। তিনি বলেন, দীর্ঘ দেড় বছরের প্রেম, তারপর বিয়ে, সুমিকে অনেক ভালোবাসেন তিনি। বিয়ের দেড় বছরে একবারও ঝগড়া হয়নি। হয়নি কোনো গালমন্দও। তাকে না পেলে বাঁচবেন না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।